www.ullas24.com

Breaking

23 April, 2020

স্রস্টার ভালোবাসা


হাম্মাদ সোয়েব


স্রস্টার ভালোবাসা

হাম্মাদ সোয়েব
-এই তো কিছু দিন আগের কথা আমি এক চা এর দোকানে বসে চা পান করছিলাম আমার সাথে ছিলেন হাফিজুল ও সাকিব তারা দুই জন বেশিরভাগ সময় আমার সাথে কাটায়। সে দিন হঠাৎ করে সাকিব বললেন আচ্ছা আল্লাহ আমাদের ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন তা হলে কেন আবার আমাদেরকে মৃত্যুর পরে শাস্তি দিবেন। -এমন কথা শুনে আমি একটু মিসকি হাসি দিয়ে তার দিয়ে তাকালাম । - হাফিজুল বললেন কি হলো ভাই আপনি কিছু না বলে এমন ভাবে হাসি দিলেন কিছুই তো বুঝতে পারলাম না। - আমি তার কথা শুনে বললাম যে শোন তাহলে তুমি দুই সন্তানের বাবা। বড় টা হলো ছেলে আর ছোট টা মেয়ে। তুমি কি দুই জনকে সমান ভালবাস না। - সে উত্তর দিল হ্যাঁ আমি তাদেরকে সমান ভালবাসি।


- আল্লাহ আমাদের সবার স্রষ্টা। তিনি আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন। তিনি কি তা হলে আমাদের সবাই কে ভালোবাসে না। - সে আবার উত্তরে বলল হ্যাঁ । - তা হলে এবার একটা কথা বলি তোমার সন্তান কে কি তুমি একটা নিয়মের মধ্যে রাখবে না। - সে বলেন হা নিয়মের মধ্যে রাখব। - এখন যদি তোমার বড় ছেলে কোন নিষেধাজ্ঞা না মেনে অন্যায় কাজ করে তা হলে তুমি কি তাকে শাস্তি দেবে না। না কি তুমি তোমার ছোট মেয়েকে শাস্তি দেবে ছেলের অন্যায় এর জন্য । - ছেলের অন্যায় এর জন্য কেন মেয়েকে শাস্তি দেব। সে অন্যায় করেছে তাই তাকে শাস্তি দেব। এবং মেয়েকে ভালোবাসা দেব শাস্তি না। - আল্লাহ আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন আর কিছু নিয়ম দিয়েছেন একটি বই দিয়ে বলেছেন যে তোমরা এই বই থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন গড়। স্রষ্টা কি তা হলে আমাদের কে শাস্তি দেবে না যদি আমরা তার কথা মতো না চলি। তুমি তোমার ছেলে তোমার কথা না সোনার জন্য তাকে সাজা দিচ্ছ তা হলে তো স্রষ্টা আমাদের কে সাজা দেবে তাই নয় কি। - আচ্ছা ভাই বুঝতে পারলাম কিন্তু স্রষ্টা কি আমাদেরকে মাফ করে দিতে পারে না। - হ্যাঁ পারে যদি তোমার ছেলে অন্যায় করার পরে তোমার কাছে এসে তা শিকার করতেন এবং ক্ষমা চাইতেন তা হলে যেমন তুমি তাকে ক্ষমা করে দিতে। তেমনি ভাবে আমরা যদি কোন খারাপ কাজ করার পরে তা বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। তিনি আমাদের কে মাফ করে দিবেন কারণ আল্লাহ মাহান , পরম দয়ালু, ক্ষমাশীল কিন্তু মাফ নিতে হলে তো তার কাছে ক্ষমা পার্থনা করতে হবে। তবেই তো আমারা রক্ষা পাব। - সাকিব সেই প্রথম থেকে শুনে যাচ্ছে । এবার সে প্রশ্ন করে বসল যে স্রষ্টা তা হলে কাদের কে শাস্তি দেবে আর কাদের কে শান্তি দেবে ? - আমাদের সন্তান যেমন দিই টা যে আমাদের কথা শুনে নিয়মের মধ্যে থাকা তাকে যেমন আমারা শাস্তি দিতে পারি না তেমন যে অন্যায় কাজ করে তাকে মাফ করে ও দিতে পারি না।। আমাদের মাঝে যেসব ব্যাক্তি আল্লাহর দেখানো পথে চলবে। তার দেওয়া কিতাবের প্রতিটি কথা মেনে চলতে পারবে তাদেরকে কখনো আল্লাহ সাজা দেবে না। - হাফিজুল বলল তা হলে আমার যদি আল্লাহর দেখানো পথে চলি তা হলে কি আমার পরকালে চির শান্তির স্থান জান্নাত এ যেতে পারবো । - আমি বললাম কেন নয়। ভালো কাজের জন্য তো আল্লাহ আমাদের কে জান্নাত উপহার হিসেবে দিবে। - কথা বলতে বলতে সন্ধার আজান দিল। তারাতারি করে চায়ের দোকানে দিল পরিশোধ করে । তাদেরকে বললাম এখন চলো সবাই নামাজে যাই। বলে সবাই নামাজে জন্য পথ চলতে শুরু করলাম।

No comments:

Post a Comment

Pages